
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর-১১ এর explosive engineer এবং সম্মুখ সমরের যোদ্ধা আমার বাবা।
আব্বু আর চাচুদের মুখে যুদ্ধের যেসব অপারেশন এর গল্প শুনে বড় হইসি সেইগুলো হলিউডের একশন সিনেমা র্যাম্বো, টারমিনেটার-২ এর সিনগুলাকেও দিব্বি হার মানায়। তাই, আমার লাইফের সবচেয়ে বড় সুপার-হিরো হলো আমার বাবা-চাচারা।
এই পরিবার একাত্তুরে খুব ক্রুশাল ভুমিকা পালন করলেও, একাত্তুরের পর বড়ই সাদামাটা জীবন যাপন করেছে আমার বাবা-চাচারা। বঙগবন্ধু মারা যাবার পর একজন কে কারাবন্দি করে রেখেছিল বহুদিন, আরেকজন ছিল ফেরারি আসামি- কারন? তাদের দেশপ্রেম। ছোট-খাটো ব্যবসা অথবা সরকারি চাকুরি করেই তারা তাদের বাকি জীবন পার করে।
এই মনে হয় শেষ বয়সে এসে আব্বু মুক্তিযোদ্ধাদের লিস্টে নিজেকে এনলিস্ট করসে। কারন আব্বু ভয় পাইত, সে এক অদ্ভুত সময় ছিল, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের লিস্টে নাম দিলেই নাকি অফিসারদের চাকরি চলে যাইতো।
তারপর, দিনকাল বদলালো – সেই লিস্টে আব্বু নাম দিলো, মুক্তিযুদ্ধের পরে দীর্ঘ ৩৫ বছর আব্বু বাংলাদেশ পুলিশে জনগনের সেবায় নিয়জিত ছিল।
পুলিশের চাকরি একটা thankless job- আপনি সৎ থাকলে আপনার শত্রুও বেশি, টাকাও নাই আপনার, পরিবার কে দেবার মত সময় ও আপনি পাবেননা। সবার বিপদে আপনি ফোনকল পেলেও , কস্মিনকালেও একটা appreciation আপনি পাবেন না।
তবে গতকাল একটু ব্যাতিক্রম ছিল। মুক্তিযুদ্ধে অবদান এর জন্য একজন ভেটেরান পুলিশ অফিসার হিসেবে আব্বুকে সম্মাননাসুচক ক্রেষ্ট প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী আ,ক,ম,মোজাম্মেল হক।