
১) ২০০৮ সালে Satoshi Nakamoto নামের ছদ্মনামের একজন “Bitcoin: A Peer-to-Peer Electronic Cash System” শীর্ষক একটি whitepaper publish করেন একটা মেইলিং লিস্ট এ , ২০০৯ সালে তিনি এর প্রথম implementation release করে ।

২) পেপারটা পড়লে আপনি দেখবেন সেখানে বলা আছে কিভাবে কোন trusted intermediary বা financial institution ছাড়া peer to peer transaction করা সম্ভব বিটকয়েন এর মাধ্যমে ।
৩) একটু খেয়াল করে কিন্তু। আমরা bkash দিয়ে নিজের একাউন্ট থেকে আরেকজন এর একাউন্টে যখন টাকা পাঠাই সেটা কিন্তু trusted intermediary : bkash, brac bank এর মাধ্যমে যায়।

৪) এক ব্যাংক একাউন্ট থেকে অন্য ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর সময় দুই ব্যাংক এর মধ্যে যেমন হিসেবের settlement হয়। আর এই টাকা প্রতিবছর দেশের সরকার ছাপায় যে কিনা আরেকটি trusted intermediary । কিন্তু, তাহলে কোন intermediary institution ছাড়া কিভাবে internet এ money transaction করা সম্ভব ?
৫) প্রতিটি বিটকয়েন ব্যবহারকারির একটি bitcoin wallet থাকে। বাস্তব জীবনে টাকা যেমন একজনের wallet থেকে আরেকজনের wallet এ যায় – তেমনি বিটকয়েনও এক ব্যবহারকারীর bitcoin wallet থেকে আরেক ব্যবহারকারীর bitcoin wallet এ যায়।

৬) এই bitcoin wallet আসলে এক জোড়া cryptographic keypair: একটি public key আর একটি private key এর combination । আপনি public key কে চিন্তা করতে পারেন আপনার চিঠির বাক্স হিসেবে, আর private key কে চিন্তা করতে পারেন চিঠির বাক্স খুলার চাবি হিসেবে।

৭) ধরেন, বিটকয়েন এর নেটওয়ার্কে bob কিছু বিটকয়েন পাঠাতে চায় carol কে।

৮) ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এরকম transaction এর জন্য যেমন cheque এ সই(signature) করতে হত, অনেকটা একইরকমভাবে বিটকয়েনের নেটওয়ার্কে এরকম transaction করতে গেলে bob তার public key/wallet address থেকে carol এর public key/wallet address এ 2.5 bitcoin পাঠাতে চায় এই তথ্যটি bob কে তার private key দিয়ে digitally sign করতে হবে ।

৯) এই digital signature – cryptographically প্রমান করে যে bob , carol কে ২.৫ বিটকয়েন পাঠাতে চায় । এবং সহজেই এর authenticity প্রমান করা সম্ভব । যে কেউ চাইলেও এটাকে fake করতে চাইলে করতে পারবেনা – সেটা সহজেই ধরে ফেলা সম্ভব।


১০) আর digitally sign করা এই transaction সংক্রান্ত তথ্যটি public ledger এ জমা হয়। এই ledger এ bitcoin network এর সমস্ত transaction recorded থাকে। আর এই ledger এর একটি করে কপি নেটওয়ার্কের সবার কাছে থাকে ।
১১) এই ledger যে কেউই চাইলে verify করতে পারে, যে এই ledger থাকা transaction গুলো কি valid & authentic কি না
১২) কিন্তু, এরকম তো প্রচুর মানুষ একজন আরেকজনকে wallet এ বিটকয়েন পাঠাতে চায়- এগুলো সবই ledger এ যোগ হতে থাকে ।
১৩) কিন্তু, এই ledger গুলো update কিংবা verify হয় কিভাবে? আর কিভাবেই বা সবার কাছে থাকা ledger sync থাকে ?
১৪) এই verification এর কাজটা চাইলে যে কেউই করতে পারে । যারা এই কাজে অংশগ্রহন করে তাকে আমরা ledger maintainer/ miner বলে থাকি ।
১৫) এই maintainer দের ledger এর transaction গুলোকে verify করতে হয়, তারপর একটি mathematical puzzle সল্ভ করতে হয় ।
১৬) যে maintainer সবচেয়ে তারাতারি , recently ঘটা transaction গুলোকে verify করে, এবং সংশ্লিষ্ট mathematical puzzle টি সল্ভ করতে পারবে – সে এক block পরিমান transaction কে verify করলো ।

১৭) এই verification এর পুরষ্কার হিসেবে সেই maintainer কিছু পরিমান bitcoin পাবে । এটি কিন্তু একেবারে শূন্য থেকে তৈরি হওয়া bitcoin । আর, bitcoin তৈরি হওয়ার এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় bitcoin mining . আর, এই ledger maintainer দের কে bitcoin miner ও বলে ।

)
১৮) একটি block of transaction কে কেউ successfully mine করলে , সে তার network এ এই updated ledger কে broadcast করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সম্পূর্ণ bitcoin network এ এই তথ্য ছড়িয়ে পড়ে আর সবাই নিজের ledger update করে নতুন ব্লক এর নতুন mathematical puzzle সল্ভ করার চেষ্টা শুরু করে ।
১৯) ledger এর accounting এর কাজ আসলে করে independent miner রা – যারা bitcoin এ পেমেন্ট পায় তাদের এই সার্ভিসটি দেয়ার জন্য । একটা centralized financial system এ এই accounting এর কাজ আসলে করত ব্যাংক , এখানে যেটা করছে miner দের একটি decentralized নেটওয়ার্ক।

এভাবেই বিটকয়েন নেটওয়ার্কে এক peer তার wallet থেকে, আরেক peer কে বিটকয়েন পাঠায়- কোন bank অথবা intermediary organization এর অস্তিত্ব ছাড়াই ।
As a novice, It was a good article for me.
Thanks bhaia. Really appreciate your comment
Well, described. Looking forward to read more on Bitcoin from your blog.
Thank you so much tushar bhai
good
Thanks