
আব্বুর যেই জিনিসটার প্রতি আমার মুগ্ধতার শেষ নেই তা হল আব্বুর অসম্ভব কৌতুহল, আর নতুন জিনিস এক্সপ্লোর করার নেশা । আমাদের বাসা আসলে একটা R&D experiment center ।প্রতিদিন আব্বুর ঘুম ভেংগে নতুন কি experiment করা যায় এই ভেবে। আমাদের ছাদের টবে মরুভুমির বুকে জন্মানো খেজুর গাছও আছে, আবার আছে প্রায় এক ফিট সাইজের বিশালবপু আম জন্ম দেয়া আমগাছ । দুর্লভ সকল জিনিস এর ফলন ফলায় আব্বু ছাদের বাগানে। এই ছাদের বাগানে কোন গাছ কে কোন যৈব সার, কোন compost দিবে – সেইগুলোও আব্বুর নিজ হাতে তৈরি। আমার রুমের সামনে আব্বু বানাইসে একটা antigravity aquarium, এই aquarium টার কাচ কাটা থেকে শুরু করে, কাচ জোরা দেয়া, বার্নিশ করা পুরোটাই আব্বুর হাতে করা। মাঝে মাঝেই সন্ধ্যাবেলা দেখি আব্বু একনজরে তাকায়ে থাকে এই aquarium এর দিকে – কিভাবে আরও engineering করা যায় এটার মধ্যে এটা৷ নিয়ে সে নিরবধি চিন্তা করতে থাকে।
আজকে থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে আব্বু আমাদের বাসার জন্য একটা IPS বানাইসিল যেটা প্রায় একদশকেরও বেশি সময় – ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলে সুন্দরমত ব্যাকাপ দিত। আর আব্বুর একটা ‘জাদুর বাক্স’ আছে – যেটায় থাকে আব্বুর গত অর্ধশতাব্দী ধরে কালেক্ট করা vintage সব ইলেকট্রনিকস। এটার একটা বড় অংশ হচ্ছে ক্যামেরা – গত ৫০ বছরে ক্যামেরার বিবর্তন কিভাবে হয়েছে আপনি বুঝতে পারবেন সেই ক্যামেরাগুলো দেখে।
আব্বুর experiment এর কথা বলতে গেলে আসলে উপন্যাস হয়ে যাবে। আব্বুর কৌতুহল একটা সদ্য কথা বলতে শেখা শিশুকেও হার মানায়, তার tech savyness এখন gen-Z এর teenager দের মত। হাটা-চলার অসম্ভব সীমাবদ্ধতা আছে আব্বুর। wheelchair এ আব্বু প্রায় ৮ বছর। তবে, জানার আগ্রহের ‘wheel’ এ এখনো দুর্বার গতি। এখনও প্রতিদিন নিজেকে rediscover করে যাচ্ছে সে। ‘৭১ এ গেরিলা সেনা, তারপর বহুযুগ পুলিশ, আর এখন fulltime life-Explorer . আজীবন এমনই থেকো আব্বু। অনেক ভালোবাসি